E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জকিগঞ্জে সরকারি গাছ বিক্রি করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

২০১৫ জুলাই ৩০ ২১:২১:০৭
জকিগঞ্জে সরকারি গাছ বিক্রি করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :জকিগঞ্জের বারহাল ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির সরকারি গাছ কেটে গোপনে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গাছ কাটার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে। র্নিবাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন কর্মকান্ডে তিনি বির্তর্কিত হয়ে উঠছেন।

গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তিনি উপ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সাইন বোর্ডে দাঁড়ি পাল্লার মনোগ্রাম লাগিয়ে প্রথম দফা বির্তকিত হন। পরে এলাকাবাসীর চাপের মুখে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সাইন বোর্ড থেকে দাড়ি পাল্লার মনোগ্রাম মুছে ফেলেন। পরবর্তীতে আরেক দফা তিনি এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলে বিতর্কের জন্ম দেন। সম্প্রতি তিনি আবারও ইউনিয়নের সরকারী গাছ কেটে বিক্রি করে আলোচিত হয়ে উঠেছেন।

জানাগেছে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ইউনিয়নের সরকারি গাছ কেটে গোপনে বিক্রি করেছেন। এলাকাবাসী গাছ কাটার প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেন। ভয় দেখান মামলা মোকাদ্দামায় ফাঁসানোর।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে খিলোগ্রামের আলী আহমদসহ বেশ কয়েকজন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবরে। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, বারহাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোস্তাক আহমদ চৌধুরী সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী ভূমি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছেন। এনিয়ে এলাকার লোকজন তার সাথে কথা বললে, এলাকার লোকদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেন। অনেক কে মিথ্যা মামলা মোকাদ্দামায় ফাসানোরও হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে বারহাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের দেয়াল নির্মাণের জন্য ছোট ছোট কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করেছি। আমি প্রতিহিংসার শিকার। প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে কেউ তা নিয়ে কথা বলতে পারেন। জামায়াতের দলীয় প্রতিক দাড়ি পাল্লার মনোগ্রাম লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সাইন বোর্ডে আদালতের প্রতীক হিসেবে দাড়ি পাল্লা দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হলে তা মুছে ফেলি।

(এসকেপি/এসসি/জুলাই৩০,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test