E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাল্যবিয়ে থেকে বাঁচতে মা-বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা!

২০১৫ আগস্ট ১০ ১৭:১০:৪৮
বাল্যবিয়ে থেকে বাঁচতে মা-বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা!

বরগুনা প্রতিনিধি : বাল্যবিয়েতে রাজি না হওয়ায় মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে তার মা-বাবা। এমন অভিযোগ এনে তানজিলা (১৫) নামে এক কিশোরী তার মা-বাবাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

বরগুনা সদর থানায় রবিবার রাতে মামলা দায়ের করে তানজিলা।

তানজিলা বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নে ছোটগৌরিচন্না গ্রামের জাহাঙ্গির খানের মেয়ে ও গৌরিচন্না নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

মামলা দায়েরের পর রাতেই তানজিলার বোন জেসমিন আক্তার ও ভগ্নিপতি মিলন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

লিখিত অভিযোগে তানজিলা উল্লেখ করেন- তানজিলার বাবা-মা, বোন-ভগ্নিপতি লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে জোরপূর্বক তাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তানজিলা বিয়ের বিরোধিতা করায় তার ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

রবিবার বিকেলে মোসা. সালমা নামে এক নারীকে বাড়িতে এনে তাকে ঝাড়ফুক দিয়ে মানুষের ক্ষতি দূর করার চেষ্টা করা হলে পালিয়ে সে চাচার ঘরে আশ্রয় নেয়। একপর্যায়ে সেখানে গিয়েও তাকে মারধর করা হয়। এমনকি ওড়না গলায় পেঁচিয়ে টানা হেঁচড়া করা হয়। সেখান থেকে তানজিলার চাচী তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এরপর রাতেই সে থানায় উপস্থিত হয়ে বাবা জাহাঙ্গির খান, মা মোসা. হেলেনা বেগম, বোন মোসা. জেসমিন আক্তার, ভগ্নিপতি মিলন মিয়া ও মোসা. সালমার বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে তানজিলার বাবা জাহাঙ্গির খান মেয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ভাই পান্না খান মেয়েকে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করিয়েছে। মেয়েকে জোর পূর্বক বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কিংবা নির্যাতনের কথা তিনি অস্বীকার করেন।

এবিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ হোসেন জানান, মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। রাতেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test