E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লোহাগড়ায় মেডিকেল অফিসারের যৌন নিপীড়ণ

২০১৫ আগস্ট ১৩ ১৫:৩৩:২৪
লোহাগড়ায় মেডিকেল অফিসারের যৌন নিপীড়ণ

লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি :নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তার নিকট আত্মীয় পরিচয় সূত্রে ১০ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সটকে পড়েছে।

ঘটনার হোতা ওই মেডিকেল অফিসার ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। এঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকাসহ আশে পাশের এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার শালনগর ইউপির শিয়েরবর গ্রামের মুজিবর রহমানের স্ত্রী শিখা বেগম(৫০) গত বুধবার শারিরিক অসুস্থ্যতার কারনে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য’ ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। ভর্তি হওয়ার পর ওই গৃহবধূর মেয়ে ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মৌসুমী খানম(১৫) তার মায়ের সেবার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অবস্থান করে।

বুধবার গভীর রাতে গৃহবধু ঘুমিয়ে পড়লে ওই মেডিকেল অফিসার আবুল হাসনাত ওই গৃহবধুর মেয়েকে আত্বীয়তার সূত্রে ফুঁসলিয়ে ও কৌশলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ১০নং রুমে এনে যৌনহয়রানী করেন। এরপর গৃহবধু ঘুম থেকে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকে। মেয়েকে না পেয়ে চিৎকার কান্নাকাটি করতে করতে দৌড়ে লোহাগড়া থানায় আসেন। ঘটনা টের পেয়ে এলাকাবাসী ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা ওই মেডিকেল অফিসারকে রুমে ১ ঘন্টা আটকিয়ে রাখেন। পরে তিনি এলাকাবাসীদের ম্যানেজ করে রুম থেকে পালাতে সক্ষম হন। ওই গৃহবধু পুনরায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফিরে এসে তার মেয়েকে ১০ম নং কক্ষ থেকে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর মেডিকেল অফিসারসহ তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা দ্রুত মা-মেয়েকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পালাতে সাহায্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ওই মেডিকেল অফিসার ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। এঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকাসহ আশে পাশের এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যপারে ওই মেডিকেল অফিসার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র । লোহাগড়া থানার ডিউটি অফিসার ও সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার ভোরে থানায় কেউ আসেনি বলে দাবী করেন। লোহাগড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্রের কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(আরএম/এসসি/আগষ্ট১৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test