E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জনবলের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে নড়াইলের সরকারি হ্যাচারীর কার্যক্রম

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ১০ ১৪:৪৬:২৬
জনবলের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে নড়াইলের সরকারি হ্যাচারীর কার্যক্রম

নড়াইল প্রতিনিধি : জনবলের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে নড়াইলের সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন কেন্দ্রটির চিংড়ির রেনুর উৎপাদন কার্যক্রম। অবহেলা আর অযত্নে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। জেলার চিংড়ি ঘের মালিকদের রেনুর জন্য ছুটতে হয় বাগেরহাট, যশোর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মান সম্পন্ন রেনুর অভাবে লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে মৎস চাষীদের ।

নড়াইল মাছ চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। জেলায় প্রায় ৮ হাজার মাছের ঘের রয়েছে। মান সম্মত রেনু উৎপাদনের জন্য আশির দশকে শহরের ভাদুলিডাঙ্গায় ৯ একর ৭৫ শতক জমির উপর নির্মান করা হয় কেন্দ্রটি। ২০০২ সালে চতুর্থ মৎস্য প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রের হ্যাচারীতে শুরু হয় গলদা চিংড়ির রেনু উৎপাদন। তিন বছর চলে এ কার্যক্রম। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় থমকে যায় রেনুর উৎপাদন। ২০০৯ সালে হ্যাচারীর কার্যক্রম পূণরায় শুরু হলেও প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে রেনু উৎপাদন কার্যক্রম।

পোনার অভাবে বিপাকে রয়েছে হাজার হাজার ঘের মালিক। রেনুর জন্য দূর দুরান্তে ছুটতে হচ্ছে তাদের। কখনো মান সম্পন্ন রেনুর অভাবে লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে চাষীদের। বর্তমানে হ্যাচারীর একটি অংশ ব্যবহৃত হচ্ছে গরুর খামার হিসেবে। ভিতরে বাসা বেঁধেছে মাকড়শা স্তুপ করে রাখা হয়েছে গো-খাদ্যের জন্য খড়েরগাদা। মিডিয়া কর্মিদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত সেগুলো পরিস্কার করতে দেখাযায় কর্মচারীদের। অবহেলা আর অযত্নে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হ্যাচারীর মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলোও। অবিলম্বে হ্যাচারী চালুর দাবি করেছেন মৎস্য চাষীরা।

নড়াইল সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা ও নড়াইল মৎস্য বীজ উৎপাদন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম এনামুল হক বলেন, হ্যাচারী চালু হলে এলাকার মৎস্য চাষীরা উপকৃত হবে। জনবলের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা মৎস কর্মকর্তা ।

প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে হ্যাচারীর কার্যক্রম শুরু হবে এটাই মৎস চাষীদের প্রত্যাশা।

(টিএআর/এএস/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test