E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরনদী হাসপাতালের মেরামত কাজ না করেই বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার

২০১৬ জুন ১৯ ১৬:৫৯:৩৫
গৌরনদী হাসপাতালের মেরামত কাজ না করেই বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):মেরামত কাজ না করেই ঠিকাদার ৬০ শতাংশ বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেলার গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালের। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রবিবার ঠিকাদার নামেমাত্র কাজ করতে আসলে তা বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরসহ এলাকাবাসি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের স্যানিটারি, বৈদ্যুতিক ও সড়ক মেরামতের জন্য বরিশাল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর চলতি অর্থবছরে প্রায় ১৪ লাখ ২২ হাজার ৫’শ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। গত মে মাসের প্রথমার্ধে দরপত্রের মাধ্যেমে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মেসার্স গোলন্দাজ এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয়া হয়।

স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর গোলাম আহাদ মিয়া রাসেল জানান, কোনো কাজ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী আব্দুস সালাম প্রায় ৯ লাখ টাকা বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাসপাতাল চত্বরের পুকুরের ভাঙ্গনরোধে ১২১ মিটার প্যালাসাইডিং করার কথা থাকলেও ৩-৪ মিটার প্যালাসাইডিং করা হয়েছে। পুকুরের পশ্চিম পাশ থেকে চিকিৎসকদের কোয়ার্টার পর্যন্ত সড়কটি নতুন করে করার থাকলেও তা না করে সামান্য কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, হাসপাতালটি নির্মাণের পর প্রায় ২৫-৩০ বছর পার হলেও কখনোই স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়নি। ফলে এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগীসহ বৈদ্যুতিক তারগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মেরামতকাজে পুরোনো তার পরিবর্তন করে নতুন তার দেওয়ার জন্য প্রাক্কলনেও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার তার পরিবর্তন না করে শুধু কিছু স্লুইচ ও সকেট পরিবর্তন করেছেন।

হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অভিযোগ করেন, ঠিকাদার সংস্কারকাজের নামে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। নামমাত্র সংস্কার হয়েছে। বাস্তবে কোনো কাজই হয়নি। রোগী ও চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষের যে দুর্ভোগ ছিল, তা-ই রয়ে গেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার আব্দুস সালাম বলেন, কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি। প্রাক্কলনের নির্ধারিত কাজ করার পরিবর্তে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে ভিন্ন কাজ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশুতোষ গৌতম বলেন, ঠিকাদার যে কাজ করেছেন, তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরিশাল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন বলেন, যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে, তারই চলতি বিল পরিশোধ করেছি। প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ আদায় না করা পর্যন্ত চূড়ান্ত বিল দেয়া হবে না।


(টিবি/এস/জুন ১৯,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test