E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পুলিশের ১৭ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও ৩টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ

বড়লেখায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫৫ জন

২০১৬ জুলাই ০৩ ২১:৪৫:৫৭
বড়লেখায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫৫ জন

বড়লেখা(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও জনৈক পথচারীর মধ্যে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামানসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের বিক্ষুব্ধ লোকজন তিনটি ট্রাক্টর পুড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। সংঘর্ষের পর বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ঈদের মৌসুম সত্ত্বেও রাত ৮টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা সদরে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সাথে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে জনৈক অটোরিকশাচালক সেবুল মিয়া ও দুই পথচারি আব্দুল মুকিত ও জাবের আহমদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে অটোরিকশাচালক পথচারীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এই ঘটনাটি স্থানীয় সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ মধ্যস্থতা করছিলেন। মধ্যস্থতার সময় সদর ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে অটোরিকশা চালকদের কথা কাটা কাটি হয়। এই ঘটনার জের ধরে পথচারীদের গ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল এবং অটোরিকশা চালকের গ্রাম পৌরসভার মহবন্দবাসীর (ইয়াকুব নগর) মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট ছোঁড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ৫৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে জাফর আহমদ (১৯), আজির উদ্দিন (৬৫), জামাল উদ্দিন (৩৫), মানিক মিয়া (৪০), খলিল আহমদ (৬৫), জাহাঙ্গীর আহমদ (৩০), শামসুল ইসলাম (১৮), জয়নুল ইসলাম (২৬), নিয়াজ উদ্দিন (৪০), ফয়জুল হক (৬৫), আফতাব উদ্দিন (৬৫), খলিল উদ্দিন (৪৫), কামাল হোসেন (৩৩), বুরহান উদ্দিন (২৪), রেহান উদ্দিন (২৭), মামুন (১৮), রুহেল (২৭), সিপার (২২), ময়না মিয়া (৩৫) প্রমুখ বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় হাসান আহমদ (২৪) ও মোস্তফা উদ্দিন (৫০) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায় ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের বিক্ষুব্ধ লোকজন তিনটি ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিয়েছেন। পরে বড়লেখা ফায়ার স্টেশনের লোকজন গিয়ে গাড়ির আগুন নিভিয়েছে। সংঘর্ষের পর বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে রবিবার রাত ৯ টায় বলেন, ‘সিএনজি ড্রাইভারদের ঝগড়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মধ্যস্থতা করছিলেন। এ নিয়ে সদর ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা কাটা কাটি হয়। পরে এ নিয়ে দুই গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায় ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।’

(এলএস/পি/জুলাই ০৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test