E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাগেরহাটের জেলেরা

২০১৬ নভেম্বর ০২ ১৬:৪৫:৫৩
বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাগেরহাটের জেলেরা

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বুধবার রাত ১২টার পর থেকে মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার ঘোষিত ২২ দিনের অবরোধের নির্ধারিত শেষ হবার পর আবারও সরব হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের জেলে পল্লী। তাই নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরনে যেতে ব্যস্ত সময় পার করছে জেলেরা।

বরফ কলের ঘাটগুলোয় উৎসবমুখর পরিবেশ ফিশিং ট্রলারে বরফ বেঝাই করছে জেলেরা। বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবিঘাট, মংলা, রামপাল ও শরণখোলায় খোজ নিয়ে জানা গেছে এসব তথ্য। এদিকে, অবরোধ সফল করায় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে উপকূলের সকল মৎস্য ব্যবসায়ী, আড়ৎদার, ট্রলার মালিক এবং জেলেদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

শরণখোলা প্রতিনিধি বুধবার দুপুরে জানান, উপজেলার রাজৈর এলাকার বরফ কলের ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক ট্রলার জড়ো হয়েছে পাঁচটি বরফ কলঘাটে। শ্রমিকরা ট্রলারগুলোতে বরফ ভরছেন। জেলেরা জাল তুলছেন ট্রলারে। দীর্ঘ অবসর সময় কাটানোর পর সাগরে যাওয়ার উদ্দেশে মাঝিমাল্লারাও যথাসময়ে হাজির হয়েছেন। রাত ১২টার পরই শুরু হবে তাদের ইলিশ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যাবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মজিবর তালুকদার জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সফলভাবেই ইলিশ অবরোধ শেষ হয়েছে।

শরণখোলার কোনো জেলেই অবরোধের মধ্যে নদী-সাগরে জাল ফেলেনি। অবরোধের সময় তারা জাল-ট্রলার মেরামতে সময় পার করেছে। বলতে গেলে শতভাগ সফল হয়েছে ইলিশ অবরোধ।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, মা’ইলিশ সংরক্ষণ ও ইলিশ অবরোধ সফল করতে মৎস্য বিভাগের পক্ষথেকে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। অবরোধ চলাকালীন কোনো জেলে মাছ ধরতে নামেনি। এমনকি ২২দিনে একটি মোবাইল কোর্টও পরিচালনার প্রয়োজন হয়নি। অবরোধ শুরুর আগে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি জেলে-মহাজনদের নিয়ে একাধি সভা সমাবেশ করা হয়েছে। জেলে-মহাজনদের আন্তরিকতায় এবারের অবরোধ শতভাগ সফল হয়েছে।

(একে/এএস/নভেম্বর ০২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test