E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চুরির অপবাদে রুটিপড়া খেয়ে অসুস্থ ব্যবসায়ী

২০২৩ সেপ্টেম্বর ১০ ২০:০৪:৩৫
চুরির অপবাদে রুটিপড়া খেয়ে অসুস্থ ব্যবসায়ী

মাদারীপুর প্রতিনিধি : দোকানে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারে কথিত কবিরাজের দেয়া রুটিপড়া খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বেপারী (৪৫)।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অসুস্থ ব্যবসায়ি জাহিদুল ইসলাম বেপারীকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারে।

পুলিশ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারে প্রায় ১৫ দিন আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী দুলাল শিকদার ও মামুন শিকদারের দোকানে চুরি হয়। এই ঘটনায় পাশের দোকানদার জাহিদুল ইসলাম বেপারীকে দায়ী করা হয়। এতে প্রতিবাদ জানান জাহিদুল ইসলাম বেপারী।
পরে এই চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল ১০টার দিকে বাজারের পাশে একটি মাদ্রাসা মাঠে রুটিপড়া খাওয়ার আয়োজন করা হয়। এসময় দুলাল শিকদার ও মামুন শিকদার বাজারের লোকজনসহ উপস্থিত অর্ধশত মানুষকে কথিত কবিরাজের দেয়া একটি করে রুটিপড়া খাওয়ান। এ সময় তারা জাহিদুল বেপারীকেও দুটি রুটি ও একটি ডিম খাওয়ান। এতে করে জাহিদুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে দুপুরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠায়।

অসুস্থ জাহিদুলের বড়ভাই সাইফুল ইসলাম ছাগির বেপারী বলেন, দুলাল শিকদার ও মামুন শিকদার পরিকল্পনা করে আমার ভাইকে মেরে ফেলার জন্য এই ঘটনা তৈরী করেছেন। তারা সবাইকে এক খাবার দিলেও আমার ভাইকে কৌশলে বিষ মেশানো খাবার দিয়েছেন। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. মুনসাদী ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার পর জাহিদুল উল্টা-পাল্টা কথা বলেন। পরে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চোর ধরতে কথিত কবিরাজের এমন পদ্ধতি বিজ্ঞান ও যুক্তিসঙ্গত নয়।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ আলম খান বলেন, এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। কথিত কবিরাজের কান্ডে এলাকায় চাঞ্চল্যেও সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে কালকিনি থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুলাল শিকদার ও মামুন শিকদার পলাতক আছেন। তাই তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

(এএসএ/এএস/সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test