E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পলাশবাড়ীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে আবারও সেই ইটভাটা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

২০২৩ নভেম্বর ১৩ ১৮:২০:১৭
পলাশবাড়ীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে আবারও সেই ইটভাটা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : পলাশবাড়ীতে সরকারি নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নুনিয়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে দীর্ঘদিন থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে এম.এম.বি মার্কার ইটভাটা। ভাটার চিমনির ধোঁয়া, মাটি ও ইট নিয়ে আসা যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টরের শব্দ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে বায়ু দূষণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে নুনিয়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় জনসাধারণ। গতবার রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে উক্ত ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতে কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ইটভাটা অপসারণের মুচলেকা প্রদান করেন ভাটার মালিক। ভাটা অপসারণের মুচলেকা দিলেও পূনরায় ইট পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ইটভাটাটি। 

সরেজমিনে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের পশ্চিম গোপিনাথপুর গ্রামে অবস্থিত নুনিয়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে লাইসেন্স বিহীন ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই বসতী এলাকায় কৃষি জমির উপর এম.এম.বি মার্কা ইটভাটা নির্মাণ করে গোপাল চন্দ্র ও গোকুল চন্দ্র দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ফলে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ও খেলাধুলা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানান, ইটভাটার ধুলা-বালি অনেক সময়ই বসার ব্রেঞ্চ, বই-খাতা সহ আমাদের শরীরে ও পোশাক-পরিচ্ছদে এসে পড়ছে। খেলাধুলার সময় চোখে মুখে ইটভাটার ধুলাবালি আসায় বিদ্যালয় মাঠে আমরা খেলাধুলাও করতে পারছিনা। বিদ্যালয়ে এসে কোন কিছু খেতে ধরলেও ভাটার ধুলাবালি খাবারে এসে পড়ে। ধুলার কারণে আমাদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।

ইতিপূর্বে অনেকেই উক্ত ইটভাটা বন্ধের কথা বলে যায় কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা আরও কতদিন এসব ধুলাবালির মধ্যে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করব তার ঠিক নেই। অপরদিকে কৃষি জমির মাটি কেটে এনে ইট প্রস্তুত করায় অত্র এলাকায় জমির শ্রেণি পরিবর্তন ঘটছে। তিন ফসলী অনেক আবাদি জমি খালে পরিণত হয়েছে এবং আশপাশের জমি মালিকরা ইরি-বোরো ধান চাষে জমিতে পানি আটকাটেও পারেনা। ফলে এলাকার কৃষি জমি চরম হুমকির মুখে। এমনকি ভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় বসতবাড়ীতে বিভিন্ন ফলমূলের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। প্রতি বছরই ভাটা বন্ধের সময় ভাটার উচ্চ তাপমাত্রার বিষাক্ত গ্যাসে শত শত একর জমির ফসলাদির ক্ষতি হয়ে থাকে। এতে করে দেশে খাদ্য ঘাটতিও ঝুঁকি পড়ে। তাই উক্ত বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহ এলাকার সচেতনমহল লাইসেন্স বিহিন অবৈধ এম.এম.বি মার্কার ইটভাটাটি বন্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

(আরআই/এসপি/নভেম্বর ১৩, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test