E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

আশুগঞ্জ থানায় মামলা

মেঘনায় ডুবে যাওয়া নৌকাসহ আরো ৩ জনের লাশ উদ্ধার

২০২৪ মার্চ ২৪ ১৮:৪৯:০৯
মেঘনায় ডুবে যাওয়া নৌকাসহ আরো ৩ জনের লাশ উদ্ধার

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকা মেঘনা নদীতে বালু ভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ভ্রমণতরীটি ঘটনায় ২ দিনপর উদ্ধার করেছে ডুবুরীদল। এছাড়াও আরো তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে ৬ জন। 

আজ রবিবার বেলা ১২টায় ডুবে যাওয়া ভ্রমণতরীটি উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর চরে উঠানো হয়। আজ উদ্ধার করা মরদেহগুলো হলো নরসিংদীর বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (২০), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩৫) ও নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল এর কন্যা মাহমুদা সুলতানা (৮), বাকীদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

ভৈরব নৌ-থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী নৌযান টার্ক বোর্ড অগ্রণীর মাধ্যমে ভ্রমণতরীটি আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর চরে তীরে রাখা হয়েছে। উদ্ধারের পর এ ভ্রমণতরীটির ভিতরে কোন লাশ পাওয়া যায়নি। তবে বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর নিচ থেকে ভেসে ওঠলে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা লাশগুলি ভৈরব নৌ-থানার মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এখন পর্যন্ত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩০) ও তার শিশু সন্তান রাইসুল (৫) এর লাশ পাওয়া যায়নি। এ লাশ না পাওয়া পর্যন্ত ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশ তাদের নজরদারী অব্যাহত থাকবে জানান বলে জানান ভৈরব নদী ফায়ার স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন।

এদিকে ঘটনার পর ভ্রমণতরী চালক ও ইঞ্জিন মিস্ত্রি নামের নামে আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার পিতা আব্দুল আলিম। এ তথ্য নিশ্চিত করেন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ আহমেদ। তিনি বলেন, বেপরোয়া গতিতে ও অসতর্কতায় নৌকা চালানোর দায়ে এ অভিযোগ করেছেন নিখোঁজ কনস্টেবল এর পিতা আব্দুল আলিম। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২২ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে ২০ জন যাত্রী নিয়ে ভ্রমণতরী নৌকাটি চরসোনারামপুর থেকে ভৈরব প্রান্তে আসার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ভ্রমণতরীটি ডুবে যায়। এ সময় ১২ জন উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে ঘটনার দিন কমলপুর এলাকার সুবর্ণা নামে এক নারী হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়। ওইদিন নিখোঁজ হয় ৮ জন। তাদের মধ্যে পরদিন শনিবার বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের ৭ জন ডুবুরীদল সকাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার টুটনদের কন্যা আরদ্দা দে ও পুলিশ কনস্টেবল এর স্ত্রী মৌসুমী বেগম এর মরদেহ উদ্ধার করে। রবিবার আবারো ৩ জনের মরদেহ পানিতে ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৬ জন।

নৌ পুলিশের কিশোরগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনার পর থেকে বিআইডব্লিওটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-থানা পুলিশ তাদের সাধ্যমত সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শনিববার ও রবিবার ২ দিনে ৫টি লাশ উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল ও তার ছেলের মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

(এসএস/এসপি/মার্চ ২৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test