E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি পারাপার বন্ধ

২০১৫ জুলাই ২৩ ২০:০৯:১২
কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি পারাপার বন্ধ

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর শিবচরের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে ডুবোচরে আটকে যাওয়ার শংকায় বুধবার রাত সাড়ে ১০ টা থেকে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের ৩ টি রো রো ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কাওড়াকান্দি ঘাট ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম জানান, কাওড়াকান্দি ঘাটে এখনো যাত্রীবাহি পরিবহণের তেমন একটা চাপ নেই। স্পীডবোট ও লঞ্চে যাত্রীদের চাপ থাকলেও ফেরিগুলোতে রয়েছে যানবাহন সংকট। তবে ডুবোচরে আটকে যাওয়ার শংকায় বুধবার রাত সাড়ে ১০ টা থেকে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে ৩ টি রো রো ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি ও ঘাট সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে ঢলের সাথে আসা নেমে আসা পলি জমে গত কয়েকদিন ধরে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটের লৌহজং টার্নিংয়ের ১ কিলোমিটারজুড়ে ডুবোচর পরে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। ঈদের আগেরদিন ২টি রো রো ফেরি প্রায় ৬ ঘন্টা ডুবোচরে আটকে ছিল। পলি পড়ে নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়া এরুটের ৩ টি রো রো ফেরি দিয়ে ভারী যানবাহন পারাপার আপাতত বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও গত ৩ দিন ধরে নাব্যতা সংকট এড়াতে ২টি ড্রেজার বসানো হয়েছে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার রাত সাড়ে ১০ টা থেকে ৩ টি রো রো ফেরিই পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।

বিআইডবি-উটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিঞা আরো বলেন, ‘লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের হাজরা চ্যানেলমুখে পানি খুবই কম। রো-রো ফেরি চলাচলের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। ফেরির তলদেশ প্রায় মাটিতে ঠেকে যায়। বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনমতে রো-রো ফেরি এই চ্যানেল পার হয়েছে। ফেরি লোড থাকলে চ্যানেলমুখ পার হওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। ফলে বুধবার রাত সারে ১০টা থেকে রো-রো ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। চ্যানেল মুখে খননকাজ চলছে। আশা করি খুব শিঘ্রই রো-রো ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।’

বিষয়টি মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী নিশ্চিত করে জানান, তিনটি রো-রো ফেরি বন্ধ থাকলেও যানবাহন ও যাত্রী নির্বিঘ্নে পারাপারের সুবিদার্থে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া রুটে দুইটি নতুন ফেরিসহ ১৭টি ফেরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

(এসিএ/পি/জুলাই ২৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test