E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জমে উঠেছে নওগাঁর সীমান্তবর্তী পশুর হাট

২০১৫ সেপ্টেম্বর ১৩ ১৭:৪০:১২
জমে উঠেছে নওগাঁর সীমান্তবর্তী পশুর হাট

নওগাঁ প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদ উল আয্হার এখনও প্রায় ১১দিন বাঁকি। এবার ঈদে পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কড়িডোরের মাধ্যমে গরু আসা বন্ধ থাকলেও নওগাঁর সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলো এখন জমে উঠেছে।

ছোট-বড় নানা আকৃতির ষাঁড় ও বকনা গরুর সমারোহে হাট যেন টইটুম্বুর। গত বছর ঈদের পর থেকে শুরু করে এবারের আসন্ন কোরবানীকে সামনে রেখে উপজেলার ছোট বড় বিভিন্ন গরুর খামারীসহ বিভিন্ন লোকজন বেশী লাভের আশায় নিজ নিজ বাড়িতে তাদের পছন্দমত ষাঁড়, বকনা পালন করেছেন। সে হিসেবে এবারের ঈদে ভারত থেকে প্রকাশ্যে গরু না আসলেও কিছু গরু আসছে চোরাই পথে। ফলে এবার কোরবানীর ঈদে গরুর সংকট হবেনা বলে বিভিন্ন গরুর মালিক ও ক্রেতারা জানিয়েছেন।

এলাকা ঘুরে জানা গেছে, জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলার সাপাহার সদর হাট, উমইল হাট, আশড়ন্দ হাট, মধুইল হাট, দীঘির হাটের গো-হাটিগুলোতে পশু, ক্রেতা, বিক্রেতার সমাগমে যেন তিল ধরনের ঠাঁই নাই। হাটে প্রবেশ করাই দুরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক হাটে পশুর আমদানীও হচ্ছে প্রচুর। পশুর মালিকরা প্রাণভরে তাদের পশুর দাম হাঁকলেও শেষ পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতার দর কষাকষিতে ক্রেতাদের সাধ্যানুযায়ী দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি পশু।

শনিবার সাপাহার সদর হাটে উপজেলা সদরের জনৈক রেজাউল মাষ্টারের পোষা একটি ষাঁড়ের সর্বোচ্চ মূল্য হাঁকা হয় ২লাখ ২৫হাজার টাকা। কিন্তু ক্রেতা সাধারণকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম করতে দেখা গেছে। বাজার গুলোতে বড় পশুর দাম অনুযায়ী ছোট পশুর দাম একটু বেশি হলেও সাধারণ ক্রেতাকে ছোট গরুই বেশি কিনতে দেখা গেছে। সীমান্তবর্তী উপজেলা হলেও এবারে হাটগুলিতে আমদানীকৃত পশু গুলির মধ্যে বেশির ভাগই এলাকার সাধারণ খামারীদের পোষা। এবারে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে জেলার সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারীরা বহু আগে থেকেই ভারত থেকে গরু আনতে বেশ তৎপর হলেও শেষ পর্যন্ত বিজিবি ও বিএসএফ এর কঠোর তৎপরতায় তা ভেস্তে গেছে। অনেকের মতে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারেও ভারত থেকে অবাধে গরু আসলে গরুর মূল্য অনেকাংশে হ্রাস পেত। সেই সঙ্গে দেশে কোরবানীদাতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেত। তবে ভারত থেকে পর্যাপ্ত গরু না আসায় দেশের পশুপালনকারী খামারীরা কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখবে বলে অনেক খামারীরা জানিয়েছেন। বর্তমানে বাজারে গরুর কমতি না থাকলেও ভারতীয় গরুর অভাবে মূল্যবৃদ্ধিতে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

(বিএম/এনএস/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test