E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জকিগঞ্জের সুলতানপুরে আ.লীগের প্রার্থী সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ক্ষোভ

২০১৬ মার্চ ০৯ ২৩:২১:২৩
জকিগঞ্জের সুলতানপুরে আ.লীগের প্রার্থী সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ক্ষোভ

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জকিগঞ্জের ৯ টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও সুলতানপুর ইউনিয়নে প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ইউপি আওয়ামীলীগের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

গত শনিবারে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্ধারণ করতে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ভোট গ্রহণ করে উপজেলা আওয়ামীলীগ। মঙ্গলবার রাতে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসায় এক বৈঠকে ভোটের ফলাফল অনুযায়ী বারহাল ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মিছবা জামান, কাজলসার ইউনিয়নে জুলকার নাইন করনাইন, মানিকপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু জাফর মো. রায়হান, কসকনকপুর ইউনিয়নে রিয়াজ উদ্দিন, বিরশ্রী ইউনিয়নে ইউনুছ আলী মেম্বার, খলাছড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান কবির আহমদ ও বারঠাকুরী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপুকে চূড়ান্ত করেন। কিন্তু সুলতানপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনন্দ বিশ্বাস বেশী ভোট পেয়েও জেলা আওয়ামীলীগের এ সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত হননি।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস সাত্তার জানান, ৯ টি ওয়ার্ডের ১৮ টি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দুটি ভোটসহ ২০ টি ভোটের মধ্যে সাবেক মেম্বার আনন্দ বিশ্বাস পেয়েছেন ১০ ভোট ও ইকবাল আহমদ একল পেয়েছেন ৯ ভোট এবং অন্য প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র একটি ভোট। তারপরও এ ইউনিয়নের প্রার্থী চূড়ান্ত না করে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন এ দুজন প্রার্থীর নাম তাঁরা কেন্দ্র পাঠিয়ে দিবেন।

জেলা আওয়ামীলীগের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ বিরাজ করেছে জকিগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা জকিগঞ্জের ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে একটি ইউনিয়নে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দাবি জানিয়ে আসছি। এ প্রার্থী ভোটের হিসেবেও এগিয়ে তারপরও আমাদের দাবি মূল্যায়ন করা হয়নি। জেলা আওয়ামীলীগের সভায় চূড়ান্ত হওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মনে করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি অনুযায়ী আনন্দ বিশ্বাসকে প্রার্থী চূড়ান্ত না করলে ৯ টি ইউনিয়নের নির্বাচনে এ প্রভাব পড়তে পারে। এই ক্ষোভের কারণে হিন্দু সম্প্রদায় নৌকা মার্কায় ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন বলেও অনেকের ধারণা।

জকিগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকলীগের নির্বাহী সভাপতি সজল বর্ম্মণ বলেন, সংখ্যালঘু হওয়ায় আনন্দ বিশ্বাস ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সংখ্যাঘরিষ্ট ভোট পেয়েও সে তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমাদের দাবী ভোটের ফলাফল অনুযায়ী আনন্দ বিশ্বাসকে প্রার্থী দিতে হবে। অন্যথায় আমার বৈঠক করে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো।

উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হাজী লোকমান উদ্দিন চৌধুরীও আনন্দ বিশ্বাস ভোট বেশী পাওয়ার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আনন্দ বিশ্বাস বেশী ভোট পেলেও অপ্রকাশিত কিছু কারণে এ ইউনিয়নের প্রার্থী চূড়ান্ত না করে দুজন প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিবেন।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা ৯ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিষয়ে সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। কেন্দ্র এ বিষয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবেন। অপরদিকে মঙ্গলবার রাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা উপজেলা শ্রমিকলীগের নির্বাহী সভাপতি সজল বর্ম্মণ ও ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস সাত্তারসহ সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের সাথে দেখা করে তাদের দাবির কথা জানান।

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ তাদেরকে আশ্বস্থ করেছেন ভোটের মল্যায়ন করা হবে বলে।


(এসকেপি/এস/মার্চ০৯,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test