E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অর্থের অভাবেই মেধাবী সঞ্জিতের ডাক্তার হওয়া স্বপ্ন অনিশ্চিত

২০১৭ অক্টোবর ১৭ ১৪:৫৮:৫০
অর্থের অভাবেই মেধাবী সঞ্জিতের ডাক্তার হওয়া স্বপ্ন অনিশ্চিত

মহিনুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী : অভাবী ঘরের মেধাবী ছাত্র সঞ্জিত রায়। নীলফামারী সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের বাদিয়ারমোড় গ্রামের মৃত হিরেন্দ্র নাথ রায় ও অসহায় মা যশোদা রায়ের দুই মেয়ে দুই ছেলের মধ্যে সবার ছোট সঞ্জিত।

তার বাবা ২০০৯ সালের ২৯ ্এপ্রিল জটিলরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু বরন করেন। মা দিন মজুরী করে সংসার চালায়। মাত্র ৩৩ শতক জমির ফসল আবাদ করে সংসার চালায়।

অর্থাভাবে বাবার চিকিৎসা করাতে না পেরে বাবাকে হারানোর পর সঞ্জিত শপথ নেয় সে ডাক্তার হয়ে গরীব দুখির অভাবী মানুষের চিকৎসা সেবা করবে।

পিতৃহারা এই মেধাবী ছাত্র উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তার পারিবারিক ও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতায় প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন এমবিবিএস ডাক্তার হবার স্বপ্নে সে এবার ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে মেধা তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মেডিকেলে ভর্তির তার রোল নম্বর ১৯৩৪০৫। ভর্তির সিরিয়াল নম্বর ৩৫১।

কিন্তু মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকার প্রয়োজন। সঞ্জিত জানায়, ভর্তির শেষ তারিখ ১৯ অক্টেবর। আর হাতে সময় আছে মাত্র দুইদিন। এই দুইদিনে টাকা পয়শা জোগার না হলে হয়তো সঞ্জিতের স্বপ্ন টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। বিধবা মায়ের অভাবের সংসারে কীভাবে এই টাকার কে জোগান দেবে। তারপর মেডিকেল কলেজের লেখাপড়ার জন্য অনেক খরচ ও ব্যয়ভার নিয়ে এই চিন্তায় অসহায় বিধবা মা (পরিবারটি) ভেঙ্গে পড়েছে।

সঞ্জিতের মা যশোদা জানায়, ছেলেকে ডাক্তার বানাতে চাই। কিন্তু তার ভর্তি ও ডাক্তারী পড়ানোর এতো টাকা পাবো কোথা থেকে। কে দিবে এই টাকা। আমার পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই তিনি তার ছেলের ডাক্তারী লেখাপড়ার ও মেডিকেলে কলেজে ভর্তির জন্য দয়াবান বিত্তশালীদের কাছে কর জোরে অনুরোধ জানিয়েছেন, তার ছেলের প্রতি সাহায্যের ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য।

সঞ্জিত জানায়, ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগ হতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে এসএসসি পাশ করে। ২০১৬ সালে নীলফামারী সরকারী কলেজ হতে এইচএসসি জিপিএ এ প্লাস পেয়ে পাস করে। সেই বছর মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু ভর্তির সুযোগ পায়নি। এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরীক্ষা দিয়ে সে সুযোগ পায় ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে।

মেধাবী সঞ্জিত কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, গরীব বাবাকে হারিয়েছি। অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় বাবা মারা গেছে। মৃত্যুর আগে বাবা বলে ছিল আমাকে কষ্ট করে হলেও আমি যেন ডাক্তার হয়ে গরীব মানুষের বিনা মূল্যে চিকিৎসা করাতে পারি। বাবার সেই স্বপ্ন কি পূরন করতে কেউ এগিয়ে আসবে না।

সঞ্জিত রায়ের ছোট চাচা অটো চালক দ্বিজেন্দ্র নাথ রায় বলেন, অর্থাভাবে আমার মৃত ভাইয়ের মেধাবী ছেলের কি ডাক্তার হবার স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে? এই সমাজে অনেক বৃত্তশালী দয়াবান ব্যক্তি আছেন। তারা এগিয়ে এলেই সঞ্জিতের ডাক্তার হবার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।

সরাসরি কেউ সঞ্জিতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তার এই ০১৭৮০-৮৯৫-০১৫ মোবাইল নাম্বারে কথা বলতে পারেন।


(এমআইএস/এসপি/অক্টোবর ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test