E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ঈদ সালামিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪

২০২১ মে ১৬ ১৫:৫৯:০৪
ঈদ সালামিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪

স্টাফ রিপোর্টার : নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামের পক্ষ থেকে ঈদ সালামি ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের।সদস্যসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ।

ঈদের দিন উপজেলা চরওয়াপদা ইউনিয়নের থানার হাট বাজারে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ।করছে। আহতরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগ সদস্য মো. মেহেরাজ হোসেন মিলন, স্থানীয় ইউপি ছাত্রলীগ কর্মী মো. শাহাদাত হোসেন, ফজলে রাব্বি হামদু ও মো. রিয়াজ উদ্দিন। আহতরা বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।

জানা গেছে, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের জন্য ঈদ সালামি পাঠান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান (আশিক) এর কাছে। মফিজ ঈদ সালামি ভাগাভাগি করার কথা থাকলেও অনুগত দুএকজনকে ২শ টাকা করে দিয়ে বাকি টাকা নিজেই ভোগ করেন। এনিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মেহেরাজ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য শাহাদাৎ হোসেনসহ কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় সাংসদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার বড় ভাই উপজেলা যুবলীগের সদস্য নুর ইসলাম, ছোট ভাই তাজুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম ও ভাগিনা আব্দুর রহমান (মাহি) জেলা ছাত্রলীগ সদস্য মেহেরাজের দোকানে হামলা চালায়।

এসময় দোকানে উপস্থিত থাকা শাহাদাত হোসেন, ফজলে রাব্বি হামদু, রিয়াজকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি যখম করে। পরে চরজব্বার থানায় অবহিত করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানীয় এবং আহতদের স্বজনরা পরে আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এঘটনায় আহত শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের এমপি সাহেব আমাদের জন্য ২০হাজার টাকা ঈদ সালামি পাঠিয়েছেন, ইতিপূর্বেও তিনি আমাদের জন্য অনেক কিছু পাঠিয়েছেন৷ কিন্তু মফিজ আমাদেরকে কিছু না দিয়ে তার ভাই ভাগিনা মিলে তারা ভোগ করে। আমরা প্রতিবাদ করলে সবসময় আমাদের হুমকি ধামকি দেয়। আমরা এবিষয়ে
স্থানীয় সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর এবং জেলা উপজেলা ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মেহেরাজ হোসেন মিলন বলেন আমার দোকানে মফিজরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার দোকান থেকে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ অর্থ ও মালামাল লুট করে তারা। এসময় তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন গুলোও ছিনিয়ে নেয় মফিজরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান (আশিক) মুঠো ফোনে জানান, “যারা অভিযোগ করেছে তারা কেউ ছাত্রলীগ নেতা নয়, একজন কিভাবে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হয়েছেন সেটা আমি জানিনা, তারা মামলা করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, বাকি সব উপজেলা ছাত্রলীগ নেতদারা জানে, আমার নামে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।

(এস/এসপি/মে ১৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test