E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

নওগাঁয় পুরোদমে ফুলকপি ও বাঁধাকপি লাগানোর কাজ

২০১৪ অক্টোবর ১৭ ১৭:৪২:১৮
নওগাঁয় পুরোদমে ফুলকপি ও বাঁধাকপি লাগানোর কাজ


বিশ্বজিৎ মনি : নওগাঁর কীর্তিপুর, বর্ষাইল, হাপানিয়াসহ জেলার মান্দা উপজেলায় পুরোদমে এগিয়ে চলেছে শীতের শব্জি ফুলকপি ও বাধাকপি লাগানো ও পরিচর্যার কাজ। এর মধ্যে শুধু মান্দা উপজেলাতেই ইতোমধ্যে ৮৮ হেক্টর জমিতে এ ফসলের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আড়াইশ হেক্টর জমিতে। গত বছর ওই উপজেলায় ২২৭ হেক্টর জমিতে এ ফসলের চাষ করা হয়েছিল।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ অঞ্চলের কৃষকরা এবার একটু দেরিতে কপির চাষ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ৩৩ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপির (পাতাকপি) চারা রোপন করা হয়েছে। গত বছর কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এবার চাষের পরিমান বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ কারণে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে আড়াইশ হেক্টর জমিতে। গত বছর ১২২ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ১০৫ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপির চাষ করা হয়েছিল।

সুত্রটি আরো জানায়, অর্জিত ফসলের প্রায় অর্ধেক উপজেলার মান্দা ইউনিয়নের নবগ্রাম, নলঘৈর ও পীরপালি গ্রামে উৎপাদিত হয়ে থাকে। এছাড়া চলতি মৌসুমে ২৫ হেক্টর জমিতে বরবটি, ১৭ হেক্টর জমিতে টমেটো, ৪৫ হেক্টর জমিতে পালংক শাক, ৪৫ হেক্টর জমিতে লালশাক, ৪৫ হেক্টর জমিতে পুঁইশাক, ৪৫ হেক্টর জমিতে শিম, ৫০ হেক্টর জমিতে লাউ ও ১৭০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে।

উপজেলার মান্দা ইউনিয়নের নবগ্রাম ও নলঘৈর গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে এ ফসলের চাষ নিয়ে কৃষকরা চরম ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কেউবা জমি তৈরি, কেউবা তৈরি জমিতে চারা রোপন করছেন। অনেকে রোপণকৃত চারার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত। নলঘৈর গ্রামের কৃষক খাজেম উদ্দিন দেওয়ান ইতোমধ্যে ২৫ কাঠা জমিতে ফুলকপির চারা রোপন করেছেন। আরো ২৫ কাঠা জমিতে লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। একই গ্রামের সাদেকুল ইসলাম একবিঘা, আলমগীর কবির একবিঘা, সাইফুদ্দীন ২৫ কাঠা, নিজাম উদ্দিন দেওয়ান ৩ বিঘা জমিতে রোপন ও আরো ২ বিঘা জমিতে রোপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

এলাকার কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতে বৈরি আবহাওয়ার কারণে একটু দেরিতে কপি চাষ শুরু করতে হয়েছে এবার। কিন্তু ভরা মৌসুমে চারার দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। কৃষকরা দাবি করেন, রোপণের শুরুতে চারার দাম স্বাভাবিক ছিল। চাষ বাড়তে থাকায় এর দাম হু-হু করে বাড়ছে। শুরুতে এক হাজার চারা ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় পাওয়া গেছে। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। হালচাষ, চারা, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক সবমিলিয়ে এ বছর প্রতি বিঘায় উৎপাদন ব্যয় ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পড়বে বলে কৃষকরা দাবি করেন। অনুকুল আবহাওয়া ও বাজার দাম ভালো হলে একবিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকার কপি বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক জানান, গতবছর কৃষকরা কপির দাম ভালো পেয়েছেন। এজন্য এবছর চাষ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবার একটু দেরিতে চাষ শুরু করতে হয়েছে। ভালো ফলনের লক্ষ্য নিয়ে রোপনকৃত এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সবধরনের পরামর্শ প্রদান করছেন।

(বিএম/এটিআর/অক্টোবর ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test