E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘আজিজ গংরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই’

২০২৪ মার্চ ১২ ১৮:০৩:১৯
‘আজিজ গংরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই’

শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ, সোনারগাঁ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য পদে উপনির্বাচনে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হৃদয় ভূঁইয়া (২৩) এর মৃত্যুতে তার বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম। হৃদয়কে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার মা সহ ও পরিবারের সদস্যরা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। হৃদয় হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা। 

সরেজমিনে নিহত হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার পরিবারের সদস্যরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তার মায়ের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন হৃদয় নির্বাচনের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে ছিলেন। বিকালে ঘুম থেকে উঠে নির্বাচনী ফলাফল জানতে হৃদয় পুণরায় ভোট কেন্দ্রে যায়। মা সালমা বেগম ছেলে হৃদয়কে ভোট কেন্দ্রে যেতে না করলেও কৌতুহল বসত সে ভোট কেন্দ্রে যায়।

তিনি বলেন, আগে যদি জানতাম আমার বুকের ধনকে আজিজ গংরা মেরে ফেলবে তাহলে আমি তাকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দিতাম না, এসময় তিনি তার ছেলে হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন। ১০ মার্চ ময়নাতদন্ত শেষে নিহত হৃদয় ভূঁইয়ার লাশ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেলে স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। একই দিন বাদ আসর জানাজা শেষে লাশ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, ঘটনার দিন ৯ মার্চ শনিবার রাতে নিহতের বড় ভাই ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত লোককে আসামি করে একটি মামলা করেন। অন্যদিকে সংঘর্ষের সময় পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্যে বাধা ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে রবিবার ১০ মার্চ সকালে সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরোজ আহাম্মেদ বাদি হয়ে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এরই মধ্যে
ইকবাল বাদী মামলায় এক নং আসামী আজিজের ভাতিজা হযরত আলী ও ভাই সহি সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

(এসবি/এসপি/মার্চ ১২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test