E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নওগাঁয় প্রসূতি খুন, সিভিল সার্জনের চেম্বার বন্ধ

২০১৪ নভেম্বর ২৬ ১৬:৩৭:৫৪
নওগাঁয় প্রসূতি খুন, সিভিল সার্জনের চেম্বার বন্ধ

নওগাঁ প্রতিনিধি : মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নওগাঁ সদর উপজেলার নওগাঁ-সান্তাহার সড়কের নতুন সাহাপুরে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতানা জাহান তার ব্যক্তিগত চেম্বারে সিজার করতে গিয়ে জহুরা বেগম (২২) নামে এক প্রসূতিকে খুন করেছেন।

পরে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ তিন লাখ টাকায় রফা করে ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ঘটনার পর সিভিল সার্জন ওই চেম্বার বন্ধ করে দিয়ে ডা. সুলতানাকে সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে নিষেধ করাসহ তাকে ষ্টেশন লিভ করতে বারন করেছেন। নিহত জহুরা বেগম নওগাঁ সদর উপজেলার নতুন সাহাপুর গ্রামের মিঠুর স্ত্রী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে প্রসূতি জহুরা বেগমকে নিয়ে যাওয়া হয় ডা. সুলতানা জাহানের চেম্বারে। সন্ধ্যার দিকে ডা. সুলতানা জাহান প্রসূতিকে সিজার করলে জহুরা বেগম মারা যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের এসআই আব্দুল মান্নানের উপস্থিতিতে দফায় দফায় বৈঠক শেষে তিন লাখ টাকায় দফারফা করে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়াসহ কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ জানান, জহুরা বেগম মারা যাওয়ার ঘটনায় তার স্বামী মিঠু ৩ লাখ টাকায় ডাক্তারের সঙ্গে আপোষ করেছে। তবে তিনি বে-আইনীভাবে চেম্বারে অপারেশন করায় ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. মোজাহার হোসেন বুলবুল জানান, জহুরা বেগমের মৃত্যুর ঘটনাটি সঠিক। বুধবার সকালে ওই চেম্বার পরিদর্শন করে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, একটি চেম্বারের কোনায় একটি টেবিল সেট করে সেখানে সিজারিয়ান অপারেশন করে ওই চিকিৎসক চরম দুঃসাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তাকে ওই চেম্বারে বসতে ও এবং ষ্টেশন লিভ করতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে বুধবার বিকেল ৩টায় ডা. সুলতানা জাহানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই তিনি ভাত খাচ্ছেন এবং পরে কথা বলতে চেয়ে ফোনের সুইচ বন্ধ করে দেন।

পুলিশের এসআই আব্দুল মান্নান জানান, জহুরা বেগম মারা যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে কোন বাদি না থাকায় লাশ নিহতের পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে প্রসূতি মারা যাওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(বিএম/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test