E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শত শত গাছ কর্তন

২০১৪ ডিসেম্বর ২৩ ১৮:৩৭:৩৭
আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শত শত গাছ কর্তন

বরগুনা প্রতিনিধি : আমতলীর দফাদার ব্রীজ ,বান্দ্রাবাজার, সেকান্দার খালী, পূজাখোলা,ছোনাউঠা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের নামে শত শত গাছ টেন্ডার ছাড়াই কর্তন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এনইবিএল ও বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাদু কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরা । স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড ধীরেন্দ্রদেবনাথ শম্ভু।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০০-২০০১ সালে সবুজ বেষ্টনীর আওতায় বন বিভাগ ৪৩/১ নং পোল্ডারের দফাদারের ব্রীজ থেকে সুবন্দি বাঁধ পর্যন্ত এবং সেকান্দার খালী গ্রামে, পূজাখোলা, ছোনাউঠা, সমিতি গঠনের মাধ্যমে ১০ হাজার ফলজ এবং বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়। সরকারি চুক্তি অনুযায়ী এ গাছ ২০ বছর পর কাটার কথা। কিন্তু এবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করে। কাজটি পায় ভারতীয়া এনইবিএল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বাঁধ মেরামতের নামে দফাদারের ব্রীজ থেকে সুবন্দি, পূজাখোলা, ছোনাউঠা, বাঁধ পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং সেকান্দারখালী গ্রামের ৩ কিলোমিটার বাঁধের শত শত গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলে। কাটা গাছের মধ্যে রয়েছে রেন্ট্রি, চাম্বল, বাবলা, নারিকেল সহ অনেক ফলের গাছ।

এসকল গাছ ও গাছের ডাল পালা এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মো. সিদ্দিকুর রহমান মৃধা বনবিভাগের আমতলীর কর্মকর্তা মো. আবাদুল হাই সেলিম প্রভাব খাটিয়ে গাছগুলো কেটেছেন বলে জানান উপকারভোগী সদস্যরা । এ ছাড়াও অনেকে গাছ লুট করে নিয়ে জায় বলে স্থানীয় উপকারভোগি সেকান্দার মুন্সি ও ছত্তার মুছল্লী, মো. নুরুল ইসলাম জানান।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানান গেছে, গাছ কাটার জন্য উপজেলায় একটি ক্রয় বিক্রয় কমিটি রয়েছে। সরকারি কোন গাছ কাটতে হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাটার নিয়ম থাকলেও বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গাছ কাটায় বরগুনা- ১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু গত সোমবার সকাল ১১ টায় সরেজমিনে পূজাখোলা, ছোনাউঠা , বান্দ্রা, সেকান্দারখালী এলাকা পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কাটা বন্দের নির্দেশ প্রদান করেন।

এব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বন বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে টেন্ডার ছাড়াই সবুজ বেষ্টনীর গাছ কর্তন করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আ. মালেক জানান, আমরা গাছ কাটার কোন নির্দেশ দেয়নি। যদি কেউ গাছ কেটে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করতে পারে। বনবিভাগ পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন রকম প্রক্রিয়া ছাড়াই বন্যনিয়ন্ত্রন বাঁধের কেটে ফেলেছে আমরা সে গাছ গুলো সংরক্ষন করছি। বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল হক জানান, গাছ কাটা বন্ধের জন্য আমতলী ইউএনওর মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

(এমএইচ/এএস/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test