E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ, তলিয়ে গেছে ৩ হাজার মৎস্য খামার

২০১৫ জুলাই ৩১ ১৮:১৯:২৮
মংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ, তলিয়ে গেছে ৩ হাজার মৎস্য খামার

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আশঙ্কা কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে পারেনি মংলা বন্দর। শুক্রবারও জাহাজে আমদানী-রপ্তানী পন্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ রয়েছে।

তবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম মোক্তাদির জানান, ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জরির পর বন্দরে আবারো কাজ শুরু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বন্দরে অবস্থান করা জাহাজ গুলোতে কাজ শুরুর জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাতের কারনে মংলা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের হ্যাচ খুলতে না পারায় পন্য ওঠানামা (খালাস) বন্ধ রয়েছে।

অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ৩ হাজার মৎস্য খামার তলিয়ে যাবার খবর নিশ্চিত করেছে মৎস্য বিভাগ।

ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেত নমিনে সতর্কতা সংকেত জারির খবরে শুক্রবার সকাল থেকে বাগেরহাটসহ উপকূলের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সুপার সাইক্লোন সিডর ও আইলা উপকূলীয় এই জনপদের মানুষের মাঝে এখন স্বস্তি ফিরে এসেছে। শরণখোলাসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রসহ স্বজনদের বড়িতে নিরাপদ আশ্রয় নেয়া মানুষ জন নিজ বাড়িতে ফিরে গেছে।

তবে, ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে নদী গুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানির উচ্চতা দুই থেকে তিন ফিট বেড়েছে। ফলে অস্বাভাবিক এই পানিতে তলিয়ে গেছে মোড়েলগঞ্জ ও মংলা উপজেলা সদরের পৌর এলাকা, রামপাল সদর ও শরণখোলা সদরের রায়েন্ধা বাজারের অধিকাংশ এলাকা। বাগেরহাট জেলা শহরের নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘর কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কমপক্ষে ৩ হাজার মাছের খামার তলিয়ে গেছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইয়াকীন আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা ৩/৪ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যায় বাগদা, গলদা ও সাদামাছের এসব মাছের ঘের (খামার)। উপজেলার জিউধরা, নিশানবাড়িয়া, বারইখালী ও বহরবুনিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ ঘের ডুবে গেছে বলে মৎস্য কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের এসিএফ কামাল উদ্দিন বলেন, সুন্দরবনের ভেতরের নদ-নদীর পনির উচ্চতা তিন থেকে সাড়ে তিন ফিটের মতোন বেড়েছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে আশ্রয় নেয়া জেলেরা এখনও সেখানে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

(একে/এএস/জুলাই ৩১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test