E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে জোয়ারের পনিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

২০১৫ আগস্ট ০২ ১৯:৫৭:৩৯
বাগেরহাটে জোয়ারের পনিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে নদনদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারে পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন স্থানে ভেড়িবাঁধ উপচে ও ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তি হাট-বাজার, মিল, কল-কারখানা, মাছের ঘের, পুকুর, ফসলি জমিসহ কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক ঘরবাড়ি।

এলাকাবাসী জানায়, বাগেরহাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দৈবজ্ঞহাটি ও নাজিরপুর প্রকল্পের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি এবং ফসালি জমি তলিয়ে গেছে। এছাড়া মোরেলগঞ্জ পৌরসভা ও সদর উপজেলার যাত্রাপুুর বাজার এবং সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামের বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঠুকে পড়েছে। ফলে, জলমগ্ন ওই সকল এলাকার সহস্রাধিক পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।

মুক্তিযোদ্ধা সরদার বজলুর রহমান জানান, রবিবার দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে ভৈরব নদী তীরবর্তি বেড়িবাঁধ ভেঙে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোড়ামারা মধ্যপাড়া এলাকার কয়েশ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার মানুষ এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। দ্রুত বেড়িবাঁধটি সংঙ্কারের দাবি জানান তিনি।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্জকরণ গ্রামের ফেরদৌস মুন্সি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৌবজ্ঞহাটি প্রকল্পের নির্মানাধীণ বেড়িবাঁধ ভেঙে পঞ্চকরণ বাজার ও গ্রামের দুই/তিন শ’ ঘরবাড়িতে পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক পরিবারে রান্না-বান্না বন্ধ হয়েছে। এসব এলকার ফসলি জমি, মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
যাত্রাপুর বাজারে মুদি দোকানি মো. জামাল হোসেন বলেন, হটাৎ করে বেড়ে যাওয়া জোয়ারের পনিতে মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার আগেই দোকানে থাকা সব কিছু তলিয়ে গেছে। বাজারের অধিকাংশ দোকানীরই একই অবস্থা বলে জানান তিনি।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ভৈরব নদীতে অতিরিক্ত জোয়ারের পনি বৃদ্ধির ফলে বেড়িবাঁধ উপচে সমৃদ্ধ যাত্রাপুর বাজার প্লাবিত হয়েছে। পনির কারনে বাজারের দোকান পাট, মিল কলকারখানা, খাদ্য গুদাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বসত বাড়ি। মাছের ঘের, পুকুর, ফসালি জমিসহ সবকিছু তুলিয়ে গেছে।

বাগেরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনদ্দিন বলেন, পূর্ণিমার জোয়ারে জেলার সকল নদ-নদীর পানি দুই থেকে তিন ফিট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঝুকিপূর্ণ ও ভেঙে যাওয়া বাঁধ গুলোর মেরামত কাজ চলছে।

(একে/অ/আগস্ট ০২, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test