গুরুদাসপুরের নওপাড়া হাইস্কুলে তিনদিন ধরে তালা ঝুলছে

নাটোর প্রতিনিধি : শিক্ষক নিয়োগ ঘটনার অজুহাতে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নওপাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস, ক্লাসরুম ও প্রধান ফটকে মঙ্গলবার সকাল থেকে তালা ঝুলছে।

বুধবার দুপুরে সরেজিমন গিয়ে জানা যায়, স্কুলের সহকারী শিক্ষক শাহ আলমকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সেই সাথে সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক পদে আরশেদ আলী ও লাইব্রেরীয়ান পদে মোছা. শামীমাকে নিয়োগ দেয়ায় শাহ আলম আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নিয়োগকে অবৈধ অজুহাতে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে কতিপয় বহিরাগত যুবক ও শিক্ষার্থীকে উস্কে দিয়ে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। নিয়োগ নিয়ে স্কুলের অভ্যন্তরীন কোন্দলে সভাপতি লুৎফর রহমান ও তার মামা শিক্ষক শাহ আলমের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এসব হচ্ছে বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানায়।
শিক্ষার্থীরা দাবী করেন, স্কুলটি খুলে দিয়ে আমাদের পড়াশুনার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়া হোক। কারো ব্যক্তিস্বার্থের সংঘাত আমাদের কাম্য নয়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমানের বাড়িতে গেলে তাকে হুইল চেয়ারে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অচেতন হয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে আছেন বলে তার পরিবার জানান।

স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, আরশেদ আলী ও শামীমাকে বৈধভাবেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষক শাহ আলমকে সহকারী প্রধান শিক্ষক না করায় তিনি প্রভাব খাটিয়ে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সর্বনাশ করার পায়তারা করছেন। অপরদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ আলম বলেন, স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন ১৫ মাস আগে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে লাইব্রেরীয়ান পদে শামীমা ও সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক পদে আরশেদ আলীকে নিয়োগ দিয়ে গত রবিবার তাদেরকে স্কুলে যোগদান করানোর ঘটনায় স্কুল ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার শিক্ষার্থী অভিভাবকরা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করে শিগ্গিরই স্কুলটির স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।

(এমআর/পি/অাগস্ট ০৫, ২০১৫)