E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বড়লেখায় ১৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দি

২০১৫ আগস্ট ৩০ ১৯:২২:২১
বড়লেখায় ১৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দি

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সোনাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে হাকালুকি হাওর এলাকার তালিমপুর ও বর্ণি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় অসংখ্য পরিবারও হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি।

সরেজমিনে রবিবার উপজেলার হাকালুকি হাওর এলাকার তালিমপুর ও বর্ণি ইউনিয়ন ঘুরে সোনাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এতে হাওর ও নদীর তীরবর্তী এলাকার বাঘমারা, ভোলার কান্দি, হাজী আব্দুস সত্তার, হাল্লা, পাকশাইল, পশ্চিম বর্ণি, নওয়াগাঁও, পাকশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকশাইল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রায় ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দি থাকতে দেখা গেছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসতে পারবে না তাই অভিবাবকের মাধ্যমে ছুটির দরখাস্ত পাঠিয়েছে বিদ্যালয়ে।

পাকশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপু ভূষণ ও আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়র হোসেন জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে বড়লেখা উপজেলার বাইরেও গোলাপগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার্থীরা আসেন। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা জানা আমাদের প্রতিষ্ঠান প্রায় ১০ দিন থেকে পানিবন্দি রয়েছে।

এদিকে বন্যায় নিম্নাঞ্চলের অসংখ্য পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়ি-ঘরে, অনেকের বাড়ির আঙ্গিনায় পানি উঠায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। তলিয়ে গেছে প্রায় কয়েক শত একর জমি। এ নিয়ে কৃষকরা রয়েছেন মহা দুঃচিন্তায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওবায়দুর রহমান মহশিন ও শাকিল আহমদ জানান, বেশ কয়েকটি মৎস্য খামার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে মৎস্য চাষীদের।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অরবিন্দ কর্মকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দির কথা জানিয়েছেন বলেছেন, ইতিমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ১ম ও ২য় শ্রেণির শিশুদের ক্লাস নেওয়া স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পেলে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস নেওয়া স্থগিত ঘোষণা করা হবে।

(এলএস/এলপিবি/আগস্ট ৩০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test