গোপালগঞ্জে কলেজ ছাত্র রাজু শেখকে হত্যা আসামীর স্বীকারোক্তি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে কলেজ ছাত্র রাজু শেখকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে মামলার অন্যতম আসামী কাইয়ুম শেখ । আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এ হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃত্ততার কথা স্বীকার করে। প্রেম ঘটিত কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। হত্যা মিশনে সেসহ ৮ জন অংশ নেয়। এ পর্যন্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ২ জন তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গতকাল বুধবার দুপুরে নড়াইলের লোহাগাড়া থানার ছাগলছিড়া গ্রাম থেকে কাইয়ুম শেখকে গ্রেফতার করে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন নিম্মীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধীতে কাইয়ুম শেখ এ হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। সে আরো স্বীকার করেছে, সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের নাজমুল হোসেন গালিবের বোনের সাথে নিহত রাজু শেখের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে হত্যাকান্ডের কয়েকদিন আগে গালিবসহ আরো কয়েকজন মিলে রাজুকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যার পর সাগর ও হাবিবুর রহমান নামে দুই যুবক রাজুকে তার বাড়ি থেকে দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে । ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাঙ্কের ভিতর রাজুর লাশ ফেলে রেখে চলে যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে এসব তথ্য দিয়েছেন।

গত ১৭ জুলাই শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কলেজ ছাত্র রাজু শেখের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা মাবিয়া বেগম ৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে (মামলা নং-৩৫, তাং-১৯.০৭.১৫)। এ পর্যন্ত পুলিশ ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে।

(এমএইচএম/এএস/সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫)