E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

মদনে নার্সের  গাফলতিতে প্রসূতি মা- শিশুর মৃত্যু

২০১৬ মে ০২ ১৬:২৮:১৯
মদনে নার্সের  গাফলতিতে প্রসূতি মা- শিশুর মৃত্যু

মদন  (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার মদন হাসপাতালে রোববার নার্সের গাফলতিতে প্রসূতি মা ও শিশুর মৃত্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে মদন উপজেলার বেসরকারি এনজিও সূর্যের হাসি ক্লিনিকের আয়া লাল বানু আক্তারের মেয়ে।  এ সংবাদ চার দিকে ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা হাসাপাতালে ভীড় করে নার্সের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য প্রাশসক তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার অঙ্গিকার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

পারিবারিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার আটারবাড়ী ইউনিয়নের গোলগন্ডা গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী রায়হানা আক্তার (২৬) কে রোববার ভোর ৪ টায় গর্ভ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স অসিমা রায় রোগীকে পুসলিয়ে ভর্তি না করে তার বাসায় নিয়ে যান। মৃত সন্তান প্রসব হওয়ায় এবং রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে বর্থ্য হয়ে অবশেষে সকাল ১০ টায় নার্স রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ময়মনসিংহে প্রেরণ করলে রাস্তায় রোগী মারা যান।

এ ব্যাপারে রোগীর খালা ফুল বানু জানান, আমার ভাগনিকে তার কাছে নিয়ে এলে সে আমাদের কে তার বাসায় নিয়ে যান রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে আমরা বার বার বলার পরও সে আমাদেরকে নিশ্চিত দেয় যে আপনার কন্যার কিছুই হবে না। আমি দেখতেছি। পরে আমাদের অনুরোধে উনি মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। জোর জবরদস্তি করে গর্ভপাত করার সময় রোগীর আতœচিৎকারে আমরা দেখতে গেলে তার সহকারী হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী রুপনেহার আমাদেরকে রুম থেকে বের করে দেয় । কিছু সময়ের মধ্যেই হাসাপাতালে একটি মৃত কন্যা সন্তান জন্ম হয়। মৃত সন্তান সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ৩ দিন আগেই শিশুটি গর্ভে মারা গেছে। অথচ আমরা গর্ভপাত আগ পর্যন্ত শিশুটি জীবিত আছে বলে লক্ষ করেছি। মূলত তার গাফলতির কারনেই আমার ভাগনি ও শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাক্তার আব্দুল কদ্দুছ জানান, আমি সকাল ১০ পর্যন্তও এ রোগীটির সর্ম্পকে অবগত ছিলাম না। গর্ভপাত করার পর অতিরিক্ত রক্তকরণ হলে নার্স অসিমা রায় আমার কাছে এসে বিষয়টি অবগত করেন। পরে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে আমি তাৎক্ষণিক রোগীকে ভর্তি করে ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ দেই। তার গাফলতির কারণেই মা শিশুর মৃত্যু হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সততা স্বীকার করে বলেন,তার বিরুদ্ধে আমি নেত্রকোণা সিভিল সার্জন স্যারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছি এবং বিষয়টি মৌখিক ভাবেও স্যারকে অবগত করেছি।

এ ব্যাপারে নেত্রকোণা সিভিল সার্জণ ডাক্তার বিজন কান্তি সরকার জানান, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসককে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি। এ ব্যাপারে সিনিয়র স্টাফ নার্স অসিমা রায়ের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।




(এএমএ /এস/মে,০২,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test