E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সালিশে বেয়াদবীর সাজা ! অতঃপর যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

২০১৫ মার্চ ২১ ২২:২৩:৩২
সালিশে বেয়াদবীর সাজা ! অতঃপর যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

নাটোর প্রতিনিধি:নাটোরের নলডাঙ্গায় রহিদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা মাসুদকে মারপিট করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে একটি সালিশী বৈঠকে রায় অমান্য করাসহ বেয়াদবীর ঘটনায় নলডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াসকে রশি দিয়ে বেঁধে দুই ঘন্টা আটকে রাখার জেরে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে রহিদুল সমর্থকরা পিয়াসের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এদিকে আহত রহিদুলকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোনাপাতিল গ্রামের সাজিদ ও প্যানেল মেয়র পিয়াসের মামা নয়নের স’মিল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

ইতিপুর্বে চার দফা সালিশী বৈঠক করেও কোন নিস্পত্তি হয়নি। শনিবার ওই বিরোধ নিস্পত্তি করতে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সালিশী বৈঠক বসে। একপর্যায়ে সালিশের রায় দেওয়া হলে নলডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াস তা অমান্য করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি এবং পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে রহিদুল ইসলাম সহ তার সহযোগীরা প্যানেল মেয়র শরিফুল ইসলাম পিয়াসকে ধরে দড়ি দিয়ে পিঠমোড়া করে চেয়ারের সঙ্গে প্রায় দুই ঘন্টা বেঁধে রাখে। পরে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পিয়াসকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এঘটনার জেরে বিকেলে যুবলীগ নেতা রহিদুল ইসলাম তার সহযোগীরা নলডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সোনাপাতিল মাদ্রাসার কাছে পৌছলে পিয়াসের মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পিয়াস ও তার সমর্থকরা তাদের ওপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

এসময় যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা মাসুদকেও মারপিট করে আহত করে। আহত রহিদুলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে রহিদুলের সমর্থকরা পিয়াসের পশ্চিম সোনাপাতিলের গ্রামের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর চালায়। তবে পিয়াসের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন আহত রহিদুল সমর্থকরা।
নলডাঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক এসএম ফিরোজ জানান, সালিয়ে বেয়াদবী করায় স্থানীয় জনতা পিয়াসকে কিছু সময়ের জন্য বেধে রাখে। পরে তার হস্তক্ষেপে পিয়াসকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ইতিপর্বে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে পিয়াসকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত পিয়াস জানান, সালিশে তিনি কোন বেয়াদবী করেননি। তাকে পরিকল্পিতভাবে দলীয় নেতাদের নির্দেশে দুই ঘন্টা চেয়ারে বেধে রেখে মানক্ষুন্নসহ তার ওপর অবিচার ও নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়া তিনি মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীর ভাই রহিদুলসহ মাদকচক্র এই ধরনের ঘৃন্য কাজ করেছে।

নলডাঙ্গা থানার ওসি নাসির উদ্দিন মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

(এমআর/এসসি/মার্চ২১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test