E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাত খুনের ঘটনা জঘন্যতম অপরাধ: মিজানুর রহমান

২০১৪ মে ১৮ ২০:১২:১৮
সাত খুনের ঘটনা জঘন্যতম অপরাধ: মিজানুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনাকে জঘন্যতম অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। অতিদ্রুত এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবিদেন মানবাধিকার কমিশনে পাঠানোর কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রোববার বিকেলে জাতীয় নারীনীতি-২০১১ শীর্ষক সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মিজানুর রহমান বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিশন কাজ শুরু করবে।আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি না, নারায়ণগঞ্জের তদন্তে আইনি বাধা রয়েছে।

তিনি জানান, ২০০৯ সালের যে আইন দ্বারা কমিশন প্রতিষ্ঠিত, তাতে কমিশনকে শুধু সুপারিশ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এখন সময় এসেছে, আইন সংশোধন করতে হবে।

সম্প্রতি চিকিৎসা সেবায় ডাক্তারদের অবহেলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এটি ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

এর আগে সেমিনারের স্বাগত বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, নারীনীতিতে সরকার এক ধাপ সামনে গেলে আবার দুই ধাপ পিছিয়ে যায়। এতেকরেআন্দোলনসমবসময়নতুনভাবেশুরুকরতেহয়।আন্দোলন করে যতটুকু সফলতা আসে, শেষ পর্যন্ত আমাদের হতাশায় ভাসতে হয়।

তিনি বলেন, সবসময় আমাদের নীতির কথা শোনানো হয়। যে সমাজে আইনের শাসন অনুপস্থিত, জনগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়; সেখানে নীতির প্রশ্ন উত্থাপন করা যায় না।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে নারী-পুরুষ-ধর্ম-জাতি-বর্ণভেদে সকল নাগরিকের সমানাধিকার পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশে নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে রয়েছে যৌতুক নিরোধ আইন, বাল্যবিবাহ রোধ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০। এতসবআইনথাকাসত্বেওশোষিতহচ্ছেনারীরা। পারিবারিক আইন থাকলেও বাস্তবায়ন নেই তার।

কাবেরী গাইন বলেন, ১৯৯৭ সালে যেখানে উত্তরাধিকার ও ভূমির উপর নারীর সমান সুযোগ এবং নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং সেই লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ২০০৪ ও ২০০৮ সালে প্রণীত নারীনীতিতে উত্তরাধিকার ও ভূমির উপর নারীর অধিকারের বিষয়টি তুলে নেয়া হয়েছে।

সরকার ১৯৯৭ সালে প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতি থেকে সম্পত্তির সমঅধিকার প্রশ্নে সরকার পিছু হটেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মহিলা সমিতির সভাপতি আয়শা খানম বলেন, নারীনীতি বাস্তবায়নে হেফাজত ইসলাম কোনো সমস্যা নয়, সমস্যা হলো যারা এটার পৃষ্ঠপোষণ করেন।এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের সমান ভুল অংশীদার।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনার মাহফুজা খানমের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এম.এম. আকাশ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য আরমা দত্ত, ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, মহিলা সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ বেগম প্রমুখ।

(ওএস/এস/মে ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test